সায়ন্তিকা ব্যনার্জিকে বরণ করে নিতে তৈরি বরানগরের মানুষ
হেন নাপানি গ্রাম ধন্য করি। আউ কথোদিন শ্রীগৌরাঙ্গ হরি তবে প্রভু আইলেন বরানগরে। শ্রী বৃন্দাবন দাস রচিত শ্রী শ্রী চৈতন্য ভাগবতে উল্লেখ মেলে ১৫১২ সালে মহাপ্রভু এসেছিলেন সেই প্রাচীন বরানগরে। বরানগর নামকরণ নিয়েও আছে নানা মত। কেউ বলেন বরাহ ঋষির নামে স্থাননাম। কেউ বলেন বরাহ ঋষি আসলে রাজা বিক্রমাদিত্যের রাজসভার নবরত্নের একজন বরাহমিহির। আবার আর এক মত বরহা মানে ময়ূরের লেজ। একসময়ে এখানে ময়ূর কেনাবেচা হত। ১৭/১৮ শতকে বরানগর পরিচিত ছিল বেরনগর নামে। ডাচ ও পর্তুগিজ মানচিত্রে যার প্রমাণ মেলে। পরে এই এলাকা ব্রিটিশের দখলে আসে। পর্তুগিজদের উপনিবেশ বরানগর আসলে বরাহনগর। শুয়োর চাষ হত। ভারতের প্রথম যান্ত্রিক পাট কারখানা ছিল এই বরানগরে ।
আধ্যাত্মিক জগতের বিশিষ্ট মানুষজন, যেমন রামকৃষ্ণ, সীতারাম ওঙ্কারনাথ, সারদাদেবী, বিবেকানন্দ , স্বামী ব্রহ্মানন্দ, রাণী রাসমণি, স্বামী যোগানন্দ, সহ রামকৃষ্ণ মিশনের বহু সন্ন্যাসী, রবীন্দ্রনাথ,মানিক বন্দোপাধ্যায় , শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, প্রশান্ত চন্দ্র মহলানবিশ, শিশির ভাদুড়ি, জয়া ভাদুড়ি, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, জিৎ গাঙ্গুলি, গায়ক শান, সুভাষ বসুর মা সহ বহু বিখ্যাত মানুষ ছিলেন বরানগরের বাসিন্দা। এহেন দমদম লোকসভার অন্তর্গত বরানগর বিধানসভার উপনির্বাচনে রাজ্যের শাসকদলের প্রার্থী হয়েছেন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দোপাধ্যায়। তৃনমূল বেশ কয়েকজন অভিনেত্রীকে নির্বাচনে আগেও প্রার্থী করেছে। গত বিধানসভার নির্বাচনে বাঁকুড়া কেন্দ্রে প্রার্থী ছিলেন সায়ন্তিকা। তবে বিজেপি প্রার্থীর কাছে মাত্র ৩ ১১১ ভোট পিছিয়ে ছিলেন। ভোটের হিসেবে ছিল ৪১.৯৩ শতাংশ। বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ছিল ৪৩.৭২ শতাংশ। তৃনমূলের অন্য অভিনেত্রীদের মধ্যে সায়ন্তিকার পার্থক্য , তিনি হেরেও তাঁর নির্বাচনী ক্ষেত্রে কাজ করে গেছেন। তারই ফলশ্রুতিতে এবার দল তাঁকে বরানগর কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে।
বিরোধী দল বিজেপির তরফে অভিজ্ঞ প্রার্থী সজল ঘোষ এবং বাম কংগ্রেস প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্য থাকলেও নবীন এই তৃণমূল প্রার্থীর জনসমাবেশ বা মিছিলে জন জোয়ার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এবার লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে যে কটি আসনে বিনা বাধায় তৃণমূল জয় পাবে বলে মনে করছেন সেই তালিকায় বরানগর স্থান পেয়েছে। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। ৪ জুন ভোট গণনা শুরু হলে নিশ্চিত জয়ের আশা দেখছেন সায়ন্তিকা বন্দোপাধ্যায়।
প্রার্থী যেখানেই যাচ্ছেন বলছেন বরানগরবাসী আমার ঘরের লোক। তাঁদের সঙ্গে আপনি বলে সম্বোধন করতে পারবো না। তুমি করে কথা বলব। প্রার্থীর বক্তব্যে সভার শ্রোতাদের মধ্যে আলোড়ন পড়ে যায়। সায়ন্তিকা বলেন,শুধু আমাদের দলের কর্মী, কাউন্সিলর নন, সাধারণ মানুষ পথে নেমে তৃনমূলের পতাকা, প্রচার পত্র বিতরণের কাজ করছেন আন্তরিকতার সঙ্গে। ঝড় -, জল, প্রখর তাপ উপেক্ষা করে তাঁরা কাজ করছেন মমতা ব্যানার্জির সুশাসনের ধারা বজায় রাখতে। এই ভালোবাসার কোনো বিনিময় মূল্য হয় না। বিরোধীরা ভারতের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর কুৎসা করেন। তাঁর পিতৃ পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। আমার বাবাকে নিয়েও কটু কথা বলছেন। এটা তাদের শিক্ষা ও দীক্ষা। আমরা এই নিম্নরুচির জবাব দিতে নিচে নামতে পারব না । এ
Comments
Post a Comment