ইয়ং ইন্ডিয়ান্স (Yi)–এর কলকাতা চ্যাপ্টার ২৯ নভেম্বর ইসলামিয়া হাসপাতালে ব্রেইল অ্যাক্সেসিবিলিটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রোগীরা যেন হাসপাতালের ভেতরে সহজে, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ও স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারেন—সে লক্ষ্যেই এই ব্রেইল-সংযুক্ত তথ্যব্যবস্থার সূচনা।

এই উদ্যোগ Yi–এর মূল ভাবনারই প্রতিফলন—একটি এমন ভারত নির্মাণ, যেখানে অন্তর্ভুক্তি কোনও স্বপ্ন নয়, বরং স্বাভাবিক মানদণ্ড। Yi কলকাতা মানুষের ক্ষমতায়ন, কাঠামোগত বাধা দূর করা এবং জনজীবনের সর্বক্ষেত্রে সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে চলেছে। অ্যাক্সেসিবিলিটি বরাবরই তাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, আর এই পদক্ষেপ তারই বাস্তব প্রয়াস—যাতে প্রতিবন্ধকতার কারণে কেউ সিস্টেমের বাইরে না পড়ে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর আমিরউদ্দিন ববি (ওয়ার্ড ৫৪, কেএমসি)। তিনি বলেন,
“অ্যাক্সেসিবিলিটি কোনও দান নয়—এটা প্রতিটি নাগরিকের অধিকার। ইয়ং ইন্ডিয়ান্স আজ যে কাজটি করেছে, তা শুধু একটি ইনস্টলেশন নয়; এটি একটি শক্ত বার্তা—স্বাস্থ্যসেবা হতে হবে সহজগম্য এবং মানবিক। আশা করি কলকাতার আরও বহু প্রতিষ্ঠান এই উদ্যোগকে অনুসরণ করবে।”
Yi কলকাতার প্রতিনিধিরা জানান—
“আমাদের স্বপ্ন এমন এক ভারত যেখানে প্রত্যেক মানুষ নিজের ক্ষমতা অনুযায়ী মুক্তভাবে ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে চলাফেরা করতে পারে। এই ব্রেইল প্রকল্প সেই পথচলার ছোট কিন্তু প্রভাবশালী পদক্ষেপ। আমরা বিশ্বাস করি, অন্তর্ভুক্তির শুরু অবকাঠামো থেকেই। আরও বেশি হাসপাতাল এবং জনপরিসর এই উদ্যোগে পাশে দাঁড়াক—এই আমাদের আশা।”
এই প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থ এসেছে একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সংগৃহীত তহবিল থেকে এবং Yi–এর সদস্যদের সহযোগিতায়।
এই ইনস্টলেশনের মধ্য দিয়ে Yi কলকাতা আবারও জানিয়ে দিল—উন্নতির শুরুই হচ্ছে ‘অ্যাক্সেস’ থেকে। অভিপ্রায় ও উদ্যোগ যখন একসঙ্গে আসে, তখনই অন্তর্ভুক্তিমূলক ভারতের পথ আর দূরে থাকে না।

Comments

Popular posts from this blog

A new flight for healthcare in Kolkata, Aastik Healthcare to offer e-clinics and online pharmacy alongside physical counterparts

পূর্ব রেলওয়ে / শিয়ালদহশিয়ালদহ বিভাগের টিকিট পরীক্ষকদের জন্য বিশেষ পরিচয় ব্যাজ চালু

জাপান ক্যারাটে ইন্ডিয়ার বার্ষিক গ্রেটেশন এক্সামিনেশন